প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ পিডিএফ ডাউনলোড | paradoxical sajid 2 pdf free online Read and Download
Table of contents
- বই সম্পর্কিত কিছু তথ্য
- প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ বইটির সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
- প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ বইয়ের সূচিপত্র
- লেখকের কথা
- প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ বইয়ের অধ্যায় সমুহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
- কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?
- A Reply to Christian Missionary
- ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করে?
- কুরআনে বৈপরীত্যের সত্যাসত্য
- বনু কুরাইজা হত্যাকাণ্ড—ঘটনার পেছনের ঘটনা
- স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প
- রাসূলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে
- জান্নাতেও মদ?
- গল্পে জল্পে ডারউইনিজম
- কুরআন কেন আরবী ভাষায়
- সূর্য যাবে ডুবে
- সমুদ্রবিজ্ঞান
- লেট দেয়ার বি লাইট
- কাবার ঐতিহাসিক সত্যতা
- নিউটনের ঈশ্বর
- পরমাণুর চেয়েও ছোট
বই সম্পর্কিত কিছু তথ্য
বইয়ের নাম | প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ (Paradoxical Sajid 2) |
লেখকের নাম | আরিফ আজাদ (Arif Azad) |
প্রকাশক | সমকালীন প্রকাশন (Somokalin Prokashon) |
বইয়ের ক্যাটাগরি | ইলামাকি বই (Islamic Books) |
বইয়ের ভাষা | বাংলা (Bengali) |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 235 |
ফাইল সাইজ | 6.70 MB |
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ বইটির সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
Paradoxical Sazid - 2 বইটি লেখক আরিফ আজাদের লেখা একটি বিশ্লেষণধর্মী বই, যা ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান এবং সামাজিক চিন্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করে। এটি মূলত ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমসাময়িক বিভিন্ন বিতর্ক এবং প্রচলিত ভুল ধারণা সম্পর্কে পাঠকদেরকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। লেখক তার যুক্তিসমৃদ্ধ লেখনীর মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয় এবং দার্শনিক প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা আজকের সমাজে প্রায়ই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।
বইটিতে বিশেষভাবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে, যেমন কুরআনের প্রামাণ্যতা, ইসলামিক দর্শন, ডারউইনিজম, নবী মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, এবং মুসলিমদের প্রতি ইসলামিক নীতিমালার সঠিক ব্যাখ্যা। প্রতিটি অধ্যায়ই নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ করে, যেমন "কুরআনে বৈপরীত্যের সত্যাসত্য" অধ্যায়ে লেখক দেখিয়েছেন কিভাবে ইসলামের সমালোচকরা কুরআনের আয়াতগুলিকে ভুল ব্যাখ্যা করে এবং সেগুলির বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হলো "বনু কুরাইজা হত্যাকাণ্ড—ঘটনার পেছনের ঘটনা", যেখানে লেখক ঐতিহাসিকভাবে মুসলিম-ইহুদি সম্পর্ক এবং খন্দক যুদ্ধের সময় বনু কুরাইজা গোত্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই অধ্যায়টি ইসলামের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক অনেক প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে।
বইটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ইসলামের ওপর নাস্তিক এবং অন্যান্য ধর্মের মিশনারিদের তোলা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব। "A Reply to Christian Missionary" অধ্যায়ে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভুল ব্যাখ্যা এবং যুক্তির বিপরীতে ইসলামের সঠিক দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
Paradoxical Sazid - 2 মূলত একটি জ্ঞানগর্ভ এবং তথ্যসমৃদ্ধ বই, যা কেবলমাত্র মুসলিম পাঠকদের জন্যই নয়, বরং সকল ধর্মের অনুসারীদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। এটি ইসলাম এবং আধুনিক বিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে এবং কিভাবে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং বিজ্ঞানের আবিষ্কার পরস্পরবিরোধী নয়, বরং তারা একই সত্যের দিক থেকে আলোকপাত করে তা দেখায়।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ বইয়ের সূচিপত্র
কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?- ১৫
A Reply to Christian Missionary- ২৫
ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করে?- ৪০
কুরআনে বৈপরীত্যের সত্যাসত্য- ৫১
বনু কুরাইজা হত্যাকাণ্ড—ঘটনার পেছনের ঘটনা- ৬৩
স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প- ৮০
রাসূলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে- ৯২
জান্নাতেও মদ?- ১১৩
গল্পে জল্পে ডারউইনিজম- ১২৫
কুরআন কেন আরবী ভাষায়- ১৩৬
সূর্য যাবে ডুবে- ১৫৩
সমুদ্রবিজ্ঞান- ১৬৪
লেট দেয়ার বি লাইট- ১৭৯
কাবার ঐতিহাসিক সত্যতা- ১৯৮
নিউটনের ঈশ্বর- ২১৫
পরমাণুর চেয়েও ছোট- ২২৫
লেখকের কথা
ইসলাম কারও শত্রু হতে আসেনি। ইসলাম এসেছে মানুষকে ভুলে যাওয়া ওয়াদা স্মরণ করিয়ে দিতে, যে ওয়াদা আমরা প্রত্যেকেই দিয়ে এসেছি আল্লাহর কাছে রূহের জগতে। এবং আমাদের আসল শত্রু ইবলিশ শয়তানকে চিনিয়ে দিতেই আল্লাহ্ পাঠিয়েছেন যুগে যুগে নবি রসূল। কিন্তু কিছু লোক সেই শত্রুকে ছেড়ে ইসলামকেই শত্রু হিশেবে নিয়েছে! এর পেছনে একাধিক কারণ থাকলেও অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, নষ্ট হওয়া ফিতরাতি বুঝ। সহজাত বিবেক যে বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার কথা অনায়াসে, সে বিষয়েই সে সংশয়গ্রস্ত বিভিন্ন যুক্তিতে। কখনো বিজ্ঞান, কখনো জাতীয়তাবাদ, কখনও-বা পশ্চিমাদের বুলির প্রতিফলন ঘটে তাদের মাঝে।
আপাদমস্তক এদেরকে যুক্তিবাদী মনে হলেও বস্তুত এদের অধিকাংশই স্রেফ বিদ্বেষ পোষণকারী। সত্য-মিথ্যার মানদণ্ডকে ঘুরিয়ে দেয়া, অতঃপর জেনে বুঝে ইসলামের সাথে শত্রুতায় লিপ্ত হওয়া—এটাই এদের উদ্দেশ্য। নাস্তিক্যবাদের আড়ালে এভাবে ইসলাম বিদ্বেষ লালন শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। তথাপি এদের কথার মারপ্যাঁচে পড়ে অনেক বুদ্ধিদীপ্ত যুবক-যুবতী ধরছে নাস্তিকতার পথ। এদের অনেকেই সত্য-সন্ধানী।
সত্যের প্রতি বিনয়ী সেই যুব সমাজের জন্য আরিফ আজাদ নিয়ে আসে এই বাংলার জমিনে ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’। গল্পের আঙ্গিকে, যুক্তি এবং বিজ্ঞানের আলোকে সংশয়বাদীদের মাঝে প্রচলিত সকল প্রশ্নের জবাব তিনি লিখেছেন বইটিতে। ইতিপূর্বে পাঠক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এই বই। ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে মানুষ দলে দলে কেনা শুরু করে বইটি এবং সংশয়ের পথ ছেড়ে ইসলামের পথে ফিরে আসে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২
-আরিফ আজাদ
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ বইয়ের অধ্যায় সমুহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?
এই অধ্যায়ে লেখক আরিফ আজাদ কুরআনের একটি আয়াত (২:২২৩) নিয়ে আলোচনা করেন, যা অনেক সময় ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয় বা সমালোচকরা নারীদের অবমাননা করার জন্য উদ্ধৃত করেন। সমালোচকরা দাবি করেন যে, এই আয়াতে নারীদের শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করা হয়েছে, যা তাদের বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করে।
আরিফ আজাদ এই অধ্যায়ে এই ধরনের ভুল ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে যুক্তি প্রদান করেন এবং আয়াতটির প্রেক্ষাপট বুঝিয়ে বলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, কুরআনের এই রূপকটি নারীদের অবমাননা করার জন্য নয় বরং তাদের যত্ন নেওয়া এবং মর্যাদা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন একটি শস্যক্ষেত্রকে যত্নসহকারে লালন পালন করা হয়, তেমনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক যত্ন ও সম্মানের সম্পর্ক থাকা উচিত।
এই অধ্যায়ে লেখক মূলত এই বার্তা দিতে চান যে, কুরআন নারীদের কোনোভাবেই অবমাননা করে না, বরং তাদের অধিকার ও মর্যাদাকে নিশ্চিত করে। লেখক মুসলিম এবং অমুসলিম উভয়ের মধ্যেই প্রচলিত ভুল ধারণার প্রতিকারের চেষ্টা করেছেন এবং পাঠকদের এই আয়াতগুলোর আরও গভীর ও সঠিক ব্যাখ্যার প্রতি উৎসাহিত করেছেন।
A Reply to Christian Missionary
অধ্যায়টি মূলত খ্রিস্টান মিশনারিদের দ্বারা ইসলাম নিয়ে উত্থাপিত সাধারণ প্রশ্ন ও চ্যালেঞ্জের জবাব দেয়। লেখক আরিফ আজাদ যুক্তি, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং বাইবেল ও কুরআনের উভয় ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতির মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলোর জবাব প্রদান করেন। এই অধ্যায়ে তিনি বিশেষভাবে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় যেমন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর ভূমিকা এবং ইসলামী ধর্মগ্রন্থের সত্যতা নিয়ে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভুল ধারণাগুলোর মোকাবিলা করেন।
লেখক খ্রিস্টান মিশনারিদের দাবি গুলোকে যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্লেষণ করেন এবং ইসলামী ও খ্রিস্টান উভয় উৎস থেকে প্রমাণ ব্যবহার করে ভুল বোঝাবুঝিগুলো পরিষ্কার করেন। তিনি বুদ্ধিবৃত্তিক বিতর্কের গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং ইসলামী ধর্মতত্ত্বের স্থায়িত্ব ও গভীরতা তুলে ধরেন। এই অধ্যায়ের লক্ষ্য হলো মুসলমানদেরকে এমন জ্ঞান দিয়ে সমৃদ্ধ করা যাতে তারা খ্রিস্টান মিশনারিদের সাথে গঠনমূলক আলোচনা করতে সক্ষম হন এবং ইসলামের ব্যাপারে ভুল ধারণাগুলোকে দূর করতে পারেন।
ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করে?
অধ্যায়টি ইসলামে অমুসলিমদের প্রতি আচরণ এবং তাদের অধিকারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। লেখক কুরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং ইসলামের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর আলোকে তুলে ধরেছেন যে, ইসলাম অমুসলিমদের অধিকার সুরক্ষায় সচেষ্ট। এই অধ্যায়ে কুরআনের ২:২৫৬ আয়াতের (ধর্মে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই) ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যেখানে ইসলামের সহনশীলতার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়াও, ইসলামী শাসনামলে বিভিন্ন অমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে কিভাবে ন্যায়বিচার এবং সাম্যের ভিত্তিতে আচরণ করা হতো, তার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। লেখক ব্যাখ্যা করেন যে, অমুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সম্পত্তি সুরক্ষিত ছিল ইসলামী শাসনে, এবং ইসলামী আইনের অধীনে তারা সুরক্ষিত ছিল। এই অধ্যায়ের মাধ্যমে লেখক অমুসলিমদের অধিকার নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো দূর করার চেষ্টা করেছেন এবং ইসলামের নীতিগুলোকে আরও পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করেছেন।
কুরআনে বৈপরীত্যের সত্যাসত্য
এই অধ্যায়ে লেখক আরিফ আজাদ কুরআনের আয়াতগুলোর মধ্যে কোনো বৈপরীত্য আছে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইসলামবিরোধীরা প্রায়ই দাবি করে যে কুরআনে কিছু বৈপরীত্য আছে যা ঈশ্বরের গ্রন্থ হিসেবে এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। লেখক এসব সমালোচনার উত্তর দিয়েছেন যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে।
তিনি এই অধ্যায়ে দেখিয়েছেন যে কুরআনের আয়াতগুলোর ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গের কারণে এগুলোকে বৈপরীত্য মনে হতে পারে, কিন্তু সঠিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করলে এসব কথিত বৈপরীত্য আসলে সঠিক নয়। কুরআনের ভাষার গভীরতা ও অর্থের বহুমুখিতা ব্যাখ্যা করে লেখক প্রমাণ করেছেন যে এই ধরনের সমালোচনা শুধুমাত্র কুরআন সম্পর্কে অজ্ঞতা ও ভুল ব্যাখ্যার ফল।
এই অধ্যায়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পাঠকদেরকে কুরআনের সত্যতা এবং তাতে কোনো বৈপরীত্য না থাকার বিষয়টি স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়া।
বনু কুরাইজা হত্যাকাণ্ড—ঘটনার পেছনের ঘটনা
অধ্যায়টি বনু কুরাইজা গোত্রের সাথে সংঘটিত ঐতিহাসিক ঘটনার বিশ্লেষণ নিয়ে লেখা। এই অধ্যায়ে আরিফ আজাদ বনু কুরাইজা গোত্রের সাথে নবী মুহাম্মদ (সা.) এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পর্ক ও দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। বনু কুরাইজা গোত্রটি মদিনায় বসবাসকারী ইহুদি সম্প্রদায়ের একটি অংশ ছিল, যারা মুসলমানদের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি করেছিল। তবে, খন্দকের যুদ্ধে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং মক্কার কুরাইশদের সাথে মিলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।
এই বিশ্বাসঘাতকতার পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম সেনাবাহিনী বনু কুরাইজা গোত্রকে অবরুদ্ধ করে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের বিচার করা হয়। এই অধ্যায়ে লেখক তুলে ধরেছেন যে, তাদের শাস্তির বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল এবং তা ইসলামের নীতিমালার মধ্যে ছিল। লেখক ইসলামি ইতিহাসের প্রেক্ষাপট থেকে ব্যাখ্যা দেন যে, এই ঘটনাকে প্রায়ই বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল যুদ্ধকালীন একটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যা বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে গৃহীত হয়েছিল।
এই অধ্যায়টি ইসলামের সমালোচকদের ভুল ধারণা দূর করার চেষ্টা করে এবং ঘটনার প্রকৃত পটভূমি বোঝাতে সাহায্য করে।
স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প
অধ্যায়ে আরিফ আজাদ সালমান রুশদির বিতর্কিত বই The Satanic Verses এবং এর দ্বারা সৃষ্ট ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। লেখক এই অধ্যায়ে রুশদির বইয়ে ইসলাম ও নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্যকে ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনার পেছনের কারণ এবং এর প্রভাবগুলো বিশ্লেষণ করেছেন।
লেখক ব্যাখ্যা করেন কিভাবে এই বইটি ইসলামি বিশ্বাস এবং মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে এবং এর ফলে মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। তিনি শয়তানিক আয়াতের ধারণা এবং এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন, যেটি মুসলিমদের মাঝে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। লেখক এই অধ্যায়ের মাধ্যমে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর উপস্থাপনাকে খণ্ডন করে ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস ও বিশ্বাসের উপর আলোকপাত করেন।
এই অধ্যায়ে মূলত ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ এবং এর সঠিক ব্যাখ্যার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে, যা পাঠকদের গভীরভাবে চিন্তা করতে ও সমালোচনামূলকভাবে বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে উদ্বুদ্ধ করবে .
রাসূলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে
অধ্যায়টি মূলত নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর একাধিক বিবাহের কারণ এবং প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করে। লেখক আরিফ আজাদ এই অধ্যায়ে ইসলামের প্রাথমিক যুগে রাসূলের বিবাহের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কারণগুলো তুলে ধরেছেন। ইসলামবিরোধী সমালোচকরা প্রায়ই নবীর (সা.) একাধিক বিবাহকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে থাকেন, তবে লেখক ব্যাখ্যা করেছেন যে, নবীর বিবাহের উদ্দেশ্য ব্যক্তিগত চাহিদা নয়, বরং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মুসলিম সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করা এবং মহিলাদের সুরক্ষা প্রদান করা ছিল।
এই বিবাহগুলো কেবল ব্যক্তিগত বা রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল না বরং কৌশলগতভাবে মুসলিম সমাজকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করেছিল। লেখক দেখিয়েছেন যে, নবী (সা.)-এর বেশিরভাগ স্ত্রীই বিধবা বা বিভিন্ন গোত্রের মহিলারা ছিলেন, যা মূলত মুসলিম সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ এবং সুরক্ষিত করার জন্য করা হয়েছিল।
এই অধ্যায়ের মাধ্যমে লেখক প্রচলিত ভুল ধারণাগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা প্রদান করে নবীর (সা.) বিবাহের প্রকৃত উদ্দেশ্য তুলে ধরেছেন, যা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে নৈতিক এবং যৌক্তিক ছিল।
জান্নাতেও মদ?
এই অধ্যায়ে লেখক আরিফ আজাদ কুরআনে বর্ণিত জান্নাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন, বিশেষত মদ সম্পর্কিত আয়াত নিয়ে। কুরআনে জান্নাতে মদ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু পৃথিবীর মদের সঙ্গে তা সম্পূর্ণ আলাদা এবং ক্ষতিকারক নয়। লেখক ব্যাখ্যা করেছেন যে, জান্নাতের মদ পৃথিবীর মদের মতো নেশা সৃষ্টি করে না বা শরীর ও মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। এটি একটি প্রশান্তি ও আরামের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
এই অধ্যায়ের মাধ্যমে লেখক বুঝাতে চেয়েছেন যে, ইসলামে যে মদকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা পৃথিবীর ক্ষতিকর মদকে বোঝায়, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং সামাজিক অবক্ষয় ডেকে আনে। জান্নাতের মদ পৃথিবীর এই অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং এতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই।
গল্পে জল্পে ডারউইনিজম
এই অধ্যায়ে লেখক আরিফ আজাদ ডারউইনবাদ বা বিবর্তনবাদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি এই তত্ত্বের বিভিন্ন দিক এবং এর সঙ্গে ইসলামের ধারণাগুলোর মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেছেন। লেখক ব্যাখ্যা করেছেন কিভাবে ডারউইনবাদ একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং কীভাবে এটি ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে।
এই অধ্যায়ে লেখক যুক্তি দেখিয়েছেন যে, ডারউইনিজমের অনেক তত্ত্ব এখনও চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হয়নি এবং এই তত্ত্বের অনেক দুর্বলতা রয়েছে। তিনি বিশেষত মানব সৃষ্টির বিষয়ে ডারউইনবাদ এবং ইসলামী বিশ্বাসের মধ্যে মূল পার্থক্য তুলে ধরেছেন, যেখানে ইসলাম মানবজাতির সৃষ্টির একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য এবং আল্লাহর বিশেষ পরিকল্পনার ওপর জোর দেয়।
লেখক এই অধ্যায়ে একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন, যেখানে বিজ্ঞান এবং ধর্ম উভয়ই সহাবস্থান করতে পারে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতাগুলো বোঝার মাধ্যমে বাস্তবিকভাবে বিবেচনা করা উচিত।
কুরআন কেন আরবী ভাষায়
এই অধ্যায়ে লেখক ব্যাখ্যা করেছেন কেন কুরআন আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি মূলত তুলে ধরেছেন যে, কুরআন এমন একটি ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে যা ছিল নবী মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর আশেপাশের লোকদের মাতৃভাষা। এর ফলে কুরআনের বার্তা সহজে এবং সুস্পষ্টভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছিল। এছাড়াও, আরবী ভাষার গভীরতা, বাক্য গঠন এবং কবিতার শৈলীর কারণে এই ভাষাটি কুরআনের জটিলতা ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম।
লেখক আরও উল্লেখ করেছেন যে, আরবী ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল ইসলামের প্রথমিক বিস্তার। যেহেতু ইসলাম আরব উপদ্বীপে শুরু হয়েছিল এবং সেই অঞ্চলের লোকজনের মধ্যে ইসলামের প্রচার সহজ করার জন্য এই ভাষা ছিল অত্যন্ত উপযুক্ত।
সূর্য যাবে ডুবে
এই অধ্যায়ে লেখক কুরআনের সূরা ইয়াসিনের ৩৮ নম্বর আয়াতের একটি ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, "সূর্য নিজ নির্দিষ্ট পথে চলতে থাকে। এটা হলো সর্বশক্তিমান সর্বজ্ঞের নির্ধারিত ব্যবস্থা।" এই আয়াতকে কেন্দ্র করে সমালোচকরা প্রায়ই দাবি করেন যে, কুরআন বিজ্ঞানের সাথে বিরোধপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছে। তারা যুক্তি দেন যে, সূর্য ডোবা বা ওঠা বিজ্ঞানসম্মত নয়।
লেখক এই অধ্যায়ে এ ধরনের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, এই আয়াতের মূল অর্থ হলো সূর্যের নিজস্ব কক্ষপথে চলমান থাকা, যা আধুনিক বিজ্ঞানেও প্রমাণিত। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, কুরআনের ভাষা ও ব্যাখ্যার গভীরতা বুঝতে হলে প্রসঙ্গ এবং তৎকালীন মানুষের ভাষার সীমাবদ্ধতা বুঝতে হবে। এটি শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বরং জ্ঞানেরও বিষয় যা কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক নয় বরং একত্রে ব্যাখ্যা করা যায়।
সমুদ্রবিজ্ঞান
এই অধ্যায়ে লেখক কুরআনের আয়াতগুলোর আলোকে সমুদ্র ও মহাসাগর সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক তথ্য ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি তুলে ধরেছেন যে, কুরআনে অনেক আগেই সমুদ্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল, যা আধুনিক বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। যেমন গভীর সমুদ্রের অন্ধকার বা স্রোতের বৈশিষ্ট্য কুরআনে বর্ণিত আছে, যা সেই সময়ের মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না।
লেখক এসব আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দেখিয়েছেন, কিভাবে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থে থাকা তথ্যসমূহ বিজ্ঞানসম্মত এবং তা মানুষের চিন্তাভাবনার পরিসরকে বিস্তৃত করে।
লেট দেয়ার বি লাইট
এই অধ্যায়ে লেখক কুরআনে আলো সম্পর্কিত আয়াতগুলোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। লেখক দেখিয়েছেন যে, কুরআনের বাণীগুলোর মধ্যে আলো এবং এর উৎপত্তি সম্পর্কে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আলো কীভাবে সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে ভূমিকা রেখেছে, এবং কীভাবে তা মহাবিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়, তা এই অধ্যায়ের মূল আলোচ্য বিষয়।
লেখক আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে, আলোর বৈজ্ঞানিক ধারণা কুরআনে তুলে ধরা হয়েছে বহু আগেই, যা পরবর্তীতে আধুনিক বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া আলো এবং অন্ধকারের বিপরীতমুখী সম্পর্কের দার্শনিক দিকও তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে আলোর গুরুত্ব শুধু পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেই নয়, বরং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকেও আলোকিত হয়েছে।
কাবার ঐতিহাসিক সত্যতা
এই অধ্যায়ে লেখক কাবার প্রাচীন ইতিহাস এবং এর পবিত্রতার মূল তুলে ধরেছেন। কাবা মুসলিমদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতীক, যা ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই সম্মানিত এবং পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে এর ইতিহাস ইসলামের পূর্বেও গভীর প্রাচীন শিকড়ে প্রোথিত। লেখক উল্লেখ করেছেন যে, গ্রিক ঐতিহাসিক ডিওডোরাস সিকুলাস (Diodorus Siculus) আরব অঞ্চলে কাবার পবিত্রতা নিয়ে লিখেছেন এবং এই পবিত্র স্থানটি আরবদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সম্মানিত ছিল।
লেখক প্রাচীন সূত্রগুলো ব্যবহার করে দেখিয়েছেন যে, কাবার পবিত্রতা কেবল ইসলাম ধর্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং খ্রিস্টধর্মের পূর্ববর্তী সময় থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিদ্যমান ছিল। তিনি কাবার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং প্রাচীন আরব সংস্কৃতিতে এর ভূমিকার উপর আলোকপাত করেছেন, যা কাবাকে একটি সার্বজনীন ধর্মীয় প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
নিউটনের ঈশ্বর
এই অধ্যায়ে লেখক আইজ্যাক নিউটনের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং বিজ্ঞানের সাথে তাঁর ঈশ্বরের ধারণা নিয়ে আলোচনা করেছেন। লেখক এখানে নিউটনের লেখা ও চিঠিপত্রের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করেছেন যে, যদিও নিউটন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন, তবুও তিনি ঈশ্বরের অস্তিত্ব এবং মহাবিশ্বের সৃষ্টির পিছনে ঈশ্বরের উপস্থিতিতে গভীরভাবে বিশ্বাসী ছিলেন।
নিউটন বিশ্বাস করতেন যে, প্রকৃতির নিয়মাবলী এবং এর গাণিতিক কাঠামো ঈশ্বরের সৃষ্টির প্রমাণ বহন করে। তিনি একাধারে বিজ্ঞানের অনুসন্ধান করলেও, কখনোই ধর্মকে উপেক্ষা করেননি। বরং, তাঁর মতে, সৃষ্টির এমন নিখুঁত বিন্যাস ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রতি ইঙ্গিত করে। এই অধ্যায়ে লেখক তুলে ধরেছেন, কিভাবে নিউটন ঈশ্বরকে একটি সর্বশক্তিমান সত্তা হিসেবে দেখতেন, যিনি মহাবিশ্বের প্রতিটি বিন্দুকে পরিচালনা করছেন এবং যাঁর হাতে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ।
এই অধ্যায়টি মূলত পাঠকদেরকে বিজ্ঞানের সাথে ধর্মীয় বিশ্বাসের সংমিশ্রণ বুঝতে সহায়তা করে এবং এটি তুলে ধরে যে, এমনকি বিজ্ঞানের মহারথীরাও ঈশ্বরের অস্তিত্বে গভীর আস্থা রাখতেন।
পরমাণুর চেয়েও ছোট
এই অধ্যায়ে আরিফ আজাদ কুরআনের আয়াতের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন যে, আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারের অনেক আগে থেকেই কুরআন পরমাণুর চেয়েও ক্ষুদ্র কণার অস্তিত্বের কথা বলেছে। লেখক বিশেষভাবে কুরআনের সূরা সাবা এর ৩ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, আকাশমণ্ডলীতে বা পৃথিবীতে একটি কণার ওজন পরিমাণ কিছুই আল্লাহর দৃষ্টি থেকে অদৃশ্য নয়, তা পরমাণুর চেয়েও ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ হোক।
এই অধ্যায়ে বিজ্ঞান এবং ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে লেখক দেখিয়েছেন কিভাবে কুরআনের তথ্য আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এছাড়াও, লেখক প্রমাণ করেছেন যে, ইসলামী ঐতিহ্য এবং ধর্মগ্রন্থের মধ্যে এমন অনেক ইঙ্গিত রয়েছে, যা আধুনিক বিজ্ঞান পরবর্তীকালে আবিষ্কার করেছে।